বিশ্ব ইজতেমায় জুমার নামাজে মানুষের ঢল

প্রকাশঃ জানুয়ারি ১৪, ২০১৭ সময়ঃ ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ

51301_fজঙ্গি তৎপরতাকে বিবেচনায় রেখে নজিরবিহীন পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। নানা বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শুক্রবারও ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন।

এদিন জুমাবার হওয়ায় লাখো মুসল্লির ঢল নামে টঙ্গীর তুরাগতীরে। নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা অংশ নেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের সড়ক ও গলিগুলোর ওপর। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে বিশ্বের ৯০টি দেশের প্রায় সাত হাজার মুসল্লি উপস্থিত হয়েছেন।

শুক্রবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা ওবায়দুল খোরশেদ আমবয়ানের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার মূল কাজ শুরু করেন। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মুরুব্বি মাওলানা মো. জাকির হোসেন। অন্যান্য বছরের মতো এবারও উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে যথারীতি ইমান, আমল, আখলাক ইত্যাদি বিষয়ে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার প্রথম পর্বের তিনদিনের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি রোববার জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। এর চারদিন পর আগামী ২০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা।

ইজতেমা ময়দান এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবারই প্রথম বিশ্ব ইজতেমার চারপাশ এবং বাইরে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এরই মধ্যে লাখো মুসল্লি সেখানে সমবেত হয়েছেন। বিভিন্ন জেলার যুবক, কিশোর, বয়োজ্যেষ্ঠ সব শ্রেণির মানুষ ইজতেমায় এসেছেন। অনেকে ৪০ দিন (এক চিল্লা) বা ১২০ দিন (তিন চিল্লা) ইসলামের দাওয়াত শেষ করে ইজতেমায় শরিক হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ইজতেমা শেষে ইসলামের দাওয়াত দিতে ৪০ দিন (এক চিল্লা) বা ১২০ দিনের জন্য (তিন চিল্লা) বেরিয়ে পড়বেন। ধনী, দরিদ্র সবাই এখানে এক শামিয়ানার নিচে একসঙ্গে অবস্থান করছেন। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ ব্যবহার্য দ্রব্যাদি কাঁধে বহন করে মাঠে আসছেন।

বিশ্ব ইজতেমার শুরুর দিন জুমাবার হওয়ায় ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ যাবৎকালের বৃহত্তম জুমার জামাত। দুপুর ১টা ৪৬ মিনিটে নামাজ শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. ফারুক হোসেন। ইজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সবস্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন হোগলা পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নামাজে ২০ লক্ষাধিক মুসল্লি শরীক হন বলে গোয়েন্দা সূত্র জানায়।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G